সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। এই অবস্থায় ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জোয়ার উপকুলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে সমুদ্র ও নৌবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেতও দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি এখন ভারতের বিহার-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।
ইতোমধ্যে জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক বাঁধ ভেঙে দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে বলছেন, আম্পানে যে ক্ষতি হয়নি; অধিক উচ্চতার জোয়ারে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে
এদিকে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই।
টানা পাঁচ দিন ধরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও (২০ আগস্ট) দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এ অঞ্চলে।